প্রশ্নঃ তরুণ বিশ্বশক্তির অধিকারী, অনন্ত সম্ভাবনাপূর্ণ তার জীবন । সে যদি শুধু ঘরের কোনে বসে। পূর্ব পুরুষের লিখিত পুঁথি ঘেঁটে তার অমূল্য মানবজীবনকে সার্থক করতে চায় এবং মনে করে, বর্তমানের সবকিছু অতীতে সৃষ্ট হয়েছিল , তাহলে সে যে শুধু তার অনন্ত শক্তিকে অপব্যয় করে তা নয়, তার সেই শক্তিকেও অবমাননা করে । অতীত সৃষ্টির জন্মদাতা অতীতের ঘটনা ও অতীতের পরিবেষ্টন। বর্তমান ঘটনা ও বর্তমান পরিবেষ্টন চিরকালই নতুন। বর্তমান অতীতের কুঁড়ি বৈ আর কিছু নয়। বর্তমানের আপন শক্তিতে সেই কুঁড়ি ফুটে নব পুষ্পে পরিণত হয়। সুতরাং তার ফলও নতুন হওয়া চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, মানব-মন অতীতের মােহ ছাড়তে পারে না। সে এই বর্তমানের পরিবর্তিত নব পরিবেষ্টনেও সেই অতীতের ইতিহাসকে হুবহু বজায় রাখতে চায়-বর্তমানের নব প্রসব-বেদনাকে উপেক্ষা করে। তাই মানব ইতিহাসের স্তরে স্তরে দেখতে পাই কত দ্বন্দ্ব, কত সংঘর্ষ, কত বিগ্রহ-বিপ্লব, কত রক্ত-বন্যা। এর মূল কারণ হচ্ছে অতীতের সৃষ্টিকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য মানব-মনের স্বাভাবিক দুর্জয়। চিরকালই তরুন ৭ প্রকৃতির বিরুদ্ধে অভিযান করেছে। বর্তমান বেদনায় অনুভূতির চঞ্চল হয়ে ভবিষ্যতে আদশ সার্থক করার জন্য।
সারাংশঃ তরুণেরা বিশ্বশক্তির অধিকারী এবং তাদের জীবন সম্ভাবনাময়। কিন্তু যদি তারা কেবল অতীতের পুঁথি ঘেঁটে বসে থাকে, তাহলে তারা তাদের শক্তির অপব্যয় করছে। বর্তমান সবসময় নতুন, এবং অতীতের কুঁড়ি থেকে নতুন ফল উৎপন্ন হতে পারে। তবে, মানব মন অতীতের মোহ থেকে মুক্ত হতে পারে না, যা সংঘর্ষ ও বিপ্লবের সৃষ্টি করে। তরুণদের উচিত বর্তমানের বেদনাকে অনুভব করে নতুন আদর্শ গড়ে তোলা।
বা,
তরুণদের উচিত তাদের অমূল্য জীবনকে সার্থক করার জন্য তাদের অনন্ত শক্তিকে কাজে লাগানো।পূর্বপুরুষদের লিখিত পুঁথি ঘেঁটে বসে না থেকে বরং বর্তমানের নতুন পরিবেষ্টনের সাথে খাপ খাওয়ানো ।তাদের বর্তমানের বেদনাকে উপেক্ষা করে ভবিষ্যতের জন্য আদর্শ স্থাপন করার চেষ্টা করা উচিত।অতীতের প্রতি আসক্তি মানুষকে অন্ধ করে দেয়, বর্তমানের পরিস্থিতি বুঝতে বাধা দেয়, ফলে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ, বিগ্রহ-বিপ্লব এবং রক্ত-বন্যার মতো ঘটনা ঘটে।মানুষের উচিত অতীতের সৃষ্টিকে অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা না করে বর্তমানের নব পরিবেষ্টনের সাথে খাপ খাওয়ানো।তরুণদের চিরকালই অন্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে।