দেখিলাম এ কালের আত্মঘাতি মৃঢ় উন্মত্ততা , দেখিনু সর্বাঙ্গে তার বিকৃতির কদর্য বিদ্রুপ । একদিকে স্পর্ধিত ক্রুরতা, মত্ততার নির্লজ্জ হুংকার , অন্যদিকে ভীরুতার , দ্বিধাগ্রস্ত চরণবিক্ষেপ, বক্ষে আলিঙ্গিয়া ধরি । কৃপণের সতর্ক সম্বল-সন্ত্রস্ত প্রাণীর মতাে। ক্ষণিক গর্জন-অন্তে ক্ষীণ স্বরে তখনই জানাই। নিরাপদ নীরব নম্রতা।
সারাংশঃ কবিতাটিতে আধুনিক সমাজের আত্মঘাতী উন্মত্ততা এবং বিকৃতির প্রতিফলন দেখা যায়। একদিকে স্পর্ধিত ক্রুরতা এবং মত্ততার নির্লজ্জতা ফুটে উঠেছে, অন্যদিকে ভীরুতা ও দ্বিধার মধ্যে মানুষ একটি অসহায় অবস্থানে রয়েছে। তারা কৃপণের মতো সতর্ক এবং সন্ত্রস্ত, যেন এক প্রাণী। এই অবস্থায়, গর্জন ও ক্ষীণ স্বরের মধ্যে নিরাপদ, নীরব, এবং নম্র থাকার গুরুত্ব উপলব্ধি করা হয়। কবিতাটি সমাজের দ্বন্দ্ব ও সংকটকে চিত্রিত করছে, যেখানে মানুষ নিরাপত্তার খোঁজে দ্বিধাগ্রস্ত।