সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস হলো সমুদ্রের পানির স্বাভাবিক স্তর থেকে হঠাৎ বৃদ্ধি, যা সাধারণত তীব্র ঝড় বা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঘটে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কম বায়ুচাপ এবং তীব্র বাতাসের চাপের ফলে সমুদ্রের পানি উপকূলের দিকে ধাবিত হয়, যার ফলে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে যায়। এটি উপকূলীয় এলাকায় বন্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। জলোচ্ছ্বাস সাধারণত তীব্র ঝড় বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘটে এবং উপকূলীয় অঞ্চলকে সরাসরি প্রভাবিত করে।
সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস কেন ঘটে?
সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের প্রধান কারণগুলো হলো:
- বাতাসের চাপ: ঘূর্ণিঝড়ের সময় কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বায়ুচাপ অত্যন্ত কম থাকে। এই কম বায়ুচাপের কারণে সমুদ্রের পানি উপরে উঠে আসে এবং পানির স্তর বৃদ্ধি পায়।
- তীব্র বাতাস: ঝড় বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় তীব্র বাতাস সমুদ্রের পানিকে উপকূলের দিকে ঠেলে দেয়। বাতাসের এই চাপের ফলে পানির উচ্চতা বাড়ে, যা উপকূলীয় এলাকায় বন্যা সৃষ্টি করে।
- আকর্ষণ শক্তি: সমুদ্রের পানি সাধারণত চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে কমে-বাড়ে, যা জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি করে। তবে ঘূর্ণিঝড় বা তীব্র ঝড়ের সময় এই প্রাকৃতিক জোয়ার আরও বেশি উচ্চতায় পৌঁছে, যার ফলে বড় আকারের জলোচ্ছ্বাস ঘটে।
- ভূগোল: উপকূলের আকৃতি এবং সমুদ্রের গভীরতা জলোচ্ছ্বাসের আকার ও প্রভাবকে প্রভাবিত করে। কিছু উপকূলীয় অঞ্চল সমতল ও নিচু হলে, সেখানে জলোচ্ছ্বাস বেশি ক্ষতি করে থাকে।