এইডস (AIDS) হলো অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম, যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংসকারী একটি রোগ। এটি এইচআইভি (HIV) বা হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। এইচআইভি ভাইরাস শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোকে (বিশেষ করে সিডি৪+ টি-কোষ) ধ্বংস করে, ফলে শরীর সংক্রমণ ও অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। যখন এইচআইভি সংক্রমণ অত্যন্ত জটিল হয়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিপজ্জনকভাবে কমে যায়, তখন তাকে এইডস বলা হয়।
এইডসে কী কাজ ঘটে?
এইডসে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, ফলে শরীর সাধারণ সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না। এতে বিভিন্ন সমস্যা ও লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন:
- ইমিউন সিস্টেমের ধ্বংস: এইডস শরীরের ইমিউন সিস্টেমের টি-কোষ ধ্বংস করে, ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
- বারবার সংক্রমণ: শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ায় রোগী বিভিন্ন সাধারণ সংক্রমণ, যেমন নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদিতে আক্রান্ত হতে পারে।
- অপportunistic infections: এইডস আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত এমন সংক্রমণে আক্রান্ত হন যা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে বিরল বা কম ক্ষতিকর। এ ধরনের সংক্রমণকে অপportunistic infection বলা হয়।
- ক্যান্সার ও অন্যান্য জটিলতা: অনেক সময় এইডস রোগীরা বিরল ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন, যেমন ক্যাপোসিস সারকোমা বা লিম্ফোমা।
এইডস নিরাময়যোগ্য নয়, তবে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (ART) ব্যবহার করা হয়। এটি ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করে এবং রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।