এসিড বৃষ্টি হলো বৃষ্টির পানি যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অ্যাসিডিক (অর্থাৎ, এর পিএইচ মান ৫.৬ এর নিচে)। সাধারণত, বৃষ্টি স্বাভাবিকভাবে হালকা অ্যাসিডিক হয়ে থাকে কারণ বাতাসে থাকা কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) জলীয় ভাপে দ্রবীভূত হয়ে কার্বন অ্যাসিড (H₂CO₃) তৈরি করে। তবে, যখন বৃষ্টির পানি অতিরিক্ত সালফার ডাইঅক্সাইড (SO₂) এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOₓ) এর মতো দূষণকারী পদার্থ নিয়ে আসে, তখন এটি আরও বেশি অ্যাসিডিক হয়ে যায়।
এসিড বৃষ্টির কারণ
- দূষণ: শিল্পকারখানা, যানবাহন, এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় সালফার ডাইঅক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড উৎপন্ন হয়। এই গ্যাসগুলো বায়ুর সাথে মিশে এবং জলীয় বাষ্পের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে সালফিউরিক অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড তৈরি করে।
- আবহাওয়া: বাতাসে দূষিত গ্যাসগুলো দীর্ঘ দূরত্ব পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে এবং বৃষ্টি হওয়ার সময় এটি জলবায়ুর মাধ্যমে বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে যায়।
- জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা ও বাতাসের গতিবিধিতে পরিবর্তন ঘটে, যা এসিড বৃষ্টির ঘটনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
এসিড বৃষ্টির প্রভাব
- পরিবেশে ক্ষতি: এসিড বৃষ্টি মাটির স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, উদ্ভিদ এবং গাছের বৃদ্ধিতে বাধা দিতে পারে, এবং পানির উৎসের অ্যাসিডিকিটির কারণে জীববৈচিত্র্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
- অবকাঠামোর ক্ষতি: এসিড বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা ও স্থাপত্যকর্ম, যেমন ভবন, সেতু, এবং স্মৃতিস্তম্ভের ক্ষতি হতে পারে।
- স্বাস্থ্য সমস্যা: এসিড বৃষ্টির ফলে দূষিত পানির উৎসে গন্ধ, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।