কোলেস্টেরল হলো একটি মোমের মতো পদার্থ যা শরীরের সকল সেলেই পাওয়া যায় এবং এটি দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত লিপিড (চর্বি) শ্রেণীর একটি উপাদান এবং এটি হরমোন, ভিটামিন ডি, এবং সেল মেমব্রেনের গঠন এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়। কোলেস্টেরল প্রধানত দুই ধরনের হয়:
- লৌহ কোলেস্টেরল (LDL): এটি “খারাপ” কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত, যা রক্তনালীর দেয়ালে জমা হয়ে থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- এইচডিএল কোলেস্টেরল: এটি “ভাল” কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত, যা রক্তনালী থেকে কোলেস্টেরল সরিয়ে নিয়ে যায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে কী হয়?
- হৃদরোগের ঝুঁকি: উচ্চ LDL কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- এথেরোস্ক্লেরোসিস: বেশি কোলেস্টেরল রক্তনালীতে প্লাক গঠন করতে পারে, যা রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করে। এটি রক্তনালীর সংকোচন এবং শক্তকরণ ঘটায়।
- ডায়াবেটিস: উচ্চ কোলেস্টেরল স্তরের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক রয়েছে, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
- যকৃতের সমস্যা: উচ্চ কোলেস্টেরল স্তর যকৃতের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
উপসংহার
সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করে কোলেস্টেরলের স্তর নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।