গ্রহ এবং নক্ষত্রের আলো প্রাপ্তির পদ্ধতি এবং কারণ ভিন্ন। এখানে এই দুটির আলোক নির্গমন এবং প্রতিফলনের কিছু মূল বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো:
১. নক্ষত্রের জ্বলন্ত (জ্বলে) কারণ:
- পারমাণবিক সংঘর্ষ: নক্ষত্রগুলো প্রধানত হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের মতো হালকা উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। তাদের কেন্দ্রে পারমাণবিক সংঘর্ষ ঘটে, যেখানে হাইড্রোজেন পারমাণু একত্রিত হয়ে হিলিয়ামে রূপান্তরিত হয়। এই প্রক্রিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন হয়, যা নক্ষত্রের তাপ ও আলো উৎপন্ন করে।
- পুঞ্জীকরণ: নক্ষত্রের গঠন ও শক্তি উৎপাদনের জন্য প্রচুর চাপ এবং তাপ প্রয়োজন। এই কারণে, নক্ষত্রের কেন্দ্রের তাপমাত্রা সাধারণত লক্ষ লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, যা তাদের আলো উজ্জ্বল করে।
২. গ্রহের জ্বলজ্বল (মিটিমিটি) কারণ:
- আলো প্রতিফলন: গ্রহগুলি নিজে থেকে আলো উৎপন্ন করে না; বরং তারা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে। যখন সূর্যের আলো গ্রহের পৃষ্ঠে পড়ে, তখন তা প্রতিফলিত হয়ে আমাদের কাছে আসে।
- অর্থবোধক অবস্থান: গ্রহের অবস্থান এবং আবহাওয়া তার আলো প্রতিফলনের পরিমাণ এবং উজ্জ্বলতা প্রভাবিত করে। যেমন, শুক্র গ্রহ খুব উজ্জ্বল কারণ এটি সূর্যের কাছাকাছি এবং এর মেঘমণ্ডল সূর্যের আলো অনেক বেশি প্রতিফলিত করে।
উপসংহার
নক্ষত্রগুলি নিজেদের শক্তি উৎপন্ন করে এবং জ্বলে, যখন গ্রহগুলি নিজেদের থেকে আলো উৎপন্ন করে না এবং সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে। ফলে নক্ষত্র উজ্জ্বল এবং গ্রহ মিটিমিটি করে জ্বলতে দেখা যায়।