ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিপি সিং ১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হন এবং তার সরকার ছিল একটি সংখ্যালঘু সরকার, যা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়াই গঠিত হয়। তার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময় সরকার যে বিষয়গুলোর উপর ফোকাস করেছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতীয় সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর উন্নয়ন এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা। ভিপি সিং-এর নেতৃত্বে সরকার ১৯৯০ সালে আর্থিক ও সামাজিক নীতিতে একটি পরিবর্তন এনেছিল, যার ফলস্বরূপ নির্দিষ্ট চাকরি ও শিক্ষায় সংরক্ষণ সুবিধার প্রবর্তন ঘটে।
ভিপি সিং-এর সরকার অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। তার সংখ্যালঘু সরকার পণ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, এবং ধর্মীয় সংকটের মতো বিভিন্ন ইস্যুর সম্মুখীন হয়েছিল। ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে, সরকার বাস্তবায়িত সংরক্ষণ নীতির ফলে বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক চাপ বাড়তে থাকে, বিশেষ করে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলের কাছ থেকে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।
অবশেষে, ১৯৯০ সালের নভেম্বরে, ভিপি সিং-এর সরকার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্ষমতাচ্যুত হয়। ভিপি সিং-এর সংখ্যালঘু সরকার ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়, যা সামাজিক ন্যায় এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের জন্য লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে উজ্জ্বল।